,

বিলুপ্তির পথে কলা, বললেন বিজ্ঞানীরা!

সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে, কলার মতো সহজলভ্য ফলটি এখন বিলুপ্তির পথে। বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করে জানিয়েছেন যে, গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলিতে একটি ভয়াবহ রোগ শেষ করে দিতে বসেছে বিশ্বের সব শস্য। এই রোগের নাম ‘পানামা’। ফাংগাস বাহিত এক ধরনের সংক্রমণ, যা ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্য-প্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাংশে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই রোগ খুব শীঘ্রই দক্ষিণ আমেরিকার ক্যাভেন্ডিশ কলাকে ধ্বংস করে দেবে। বিশ্বজুড়ে যেসব কলা মানুষ সবচেয়ে বেশি খায়, সেই প্রজাতিকেই ক্যাভেন্ডিশ কলা বলা হয়। এই প্রজাতির কলাতেই সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে এই পানামা রোগ। যার জেরে পুরো চাষের জমিই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কলা গাছকে এই রোগ থেকে প্রতিরোধ করতে বিরল মাদাগাস্কার কলা গাছকে সংরক্ষণ করতে হবে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই এক ধরনের হাইব্রিড কলা উত্পাদনের কাজ শুরু করেছেন। যা খেতেও সুস্বাদু হবে, একই সঙ্গে কলার পানামা রোগ থেকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতাসীন হবে।

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বে মাত্র পাঁচটি মাদাগাস্কার কলা গাছ বেঁচে রয়েছে। রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের সিনিয়র অফিসার রিচার্ড অ্যালেনের মতে, ‘এই মাদাগাস্কার প্রজাতিটির মধ্যে প্রকৃতিগত ভাবেই রোগ প্রতিরোধ করার সহ্য শক্তি রয়েছে। সম্ভবত এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জিনগত সুবিধা রয়েছে এই গাছে।’

তবে কি দোকানে যে কলা কিনতে পাওয়া যাচ্ছে তা খেলে আমাদেরও সমস্যা হতে পারে? সে বিষয়ে বিশদভাবে এখনই কোন মন্তব্য না করলেও, কলা যে বিলুপ্তির পথে, তা অনেকটাই স্পষ্ট করেছেন বিজ্ঞানীরা। আফ্রিকার মাদাগাস্কার গাছ ও তার বীজ সংরক্ষণ করা গেলে, গাছের জিনগত বৈশিষ্ট্য বুঝা সম্ভব হবে। ফলে ভবিষ্যতে কলার ভয়ানক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *